উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা চান সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। জাসদের সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদলও চান এই সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসুক। তবে তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, আত্মতুষ্টি বিপদ ঘটাতে পারে।
শনিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দুই সাংসদ এসব কথা বলেন।
মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সংসদে একটা রোগ দেখা যাচ্ছে— আত্মতুষ্টি। এটা বিপদ ঘটাতে পারে। এই সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে যাচ্ছে, যা বিশ্বের সংসদীয় রাজনীতিতে বিরল। সংসদীয় রাজনীতিতে ১৫ বছর একটানা থাকা অনেকটা অসম্ভব। তিনি সাংসদদের আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষার মানের সমালোচনা করে বাদল বলেন, লেখাপড়ার মান ‘রাবিশ’। তিনি অর্থমন্ত্রীর এই শব্দটা নিয়েছেন।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে মঈন উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষার জন্য যা করেছেন তা অকল্পনীয়। অন্য সময় হলে তিনি এর সমালোচনা করতেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ থেকে সমস্যা আসবে। দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। জনসংখ্যার দিক থেকে অষ্টম বৃহত্তম দেশ হিসেবে সেরকম আচরণ করতে হবে। তথাকথিত মিয়ানমারকে জবাব দিতে হবে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির নেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত আছে। বাজেটে শেয়ার বাজারের জন্য কিছু রাখা হয়নি। শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে জানা যাবে কারা টাকা নিয়ে গেছেন, টাকা কোথায় গেছে। শেয়ার বাজার নিয়ে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি ব্যাংক খাত সংস্কারে কমিশন গঠন, ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমানো, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমানোর প্রস্তাব করেন।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম বলেন, এই সরকার উন্নয়ন করেনি তা নয়। অবশ্যই উন্নয়ন করেছে। বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন হয় না। তিনি বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা কামনা করেন। একই সঙ্গে তিনি বর্তমান সরকারকে এরশাদের আমলের উন্নয়ন স্বীকার করার আহ্বান জানান।